যেদিন আমি হারিয়ে যাব, বুঝবে সেদিন বুঝবে, অস্তপারের সন্ধ্যাতারায় আমার খবর পুছবে -

Wednesday, 25 May 2011

নজরুল প্রতিভাঃ বাবু রহমান

কাজী নজরুল ইসলামের সৌভাগ্য, তিনি যখন কর্মে মগ্ন তখন তিনি খ্যাতির শীর্ষে। আর যখন বাকরুদ্ধ হলেন- তখন প্রচারের বাইরে; এক সময় তা অন্ধবিবরে। কবির জীবিত অবস্থায় দিল্লী থেকে ১৯৩৮ সালে আখতার হোসেন রায়পুরী’র অনুবাদে ‘পীয়াম-ই-শাহাব’ শীর্ষক উর্দু ভাষায় নজরুল কাব্য প্রকাশিত হয়েছে। জানা যায়, ছান্দসিক আব্দুল কাদির (১৯০৬-১৯৮৪) তাঁর সংক্ষিপ্ত জীবনী রচনা করেছেন কবির জীবদ্দশায়।



নজরুল চর্চার অন্ধকার যুগে–১৯৪৯ সালে, মহামানব কাজী আব্দুল ওদুদের (১৮৯৪-১৯৭০) কোলকাতার বর্মণ পাবলিশিং থেকে ‘নজরুল প্রতিভা’ নামে মূল্যায়নমূলক একটি চটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়। ১৯৫৩ সালে শিবপ্রসন্ন লাহিড়ী রচিত ‘নজরুল সাহিত্যের ভূমিকা’ নামে ‘পাকিস্তান বুক স্টল’ থেকে আর একটি গ্রন্থটি প্রকাশিত হয়েছিল। দীর্ঘদিন দুষ্প্রাপ্যের খাতায় নাম রেখে নজরুল জন্মশতবর্ষে নজরুল ইন্সটিটিউট থেকে এর ২য় সংস্করণ হয়। ১৯৬২ সালে শহীদ আমীর হোসেন চৌধুরী রচিত নজরুল কাব্যে রাজনীতি গ্রন্থটি বহুকাল পর ‘আন্তর্জাতিক নজরুল ফোরাম’ থেকে বের হয়।

আর নজরুলের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে ১৪টি গীতিগ্রন্থ এবং ৩টি স্বরলিপি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়। কিন্তু ১৯৪৭ এর দেশ ভাগ এবং সাম্প্রদায়িক মানসিকতার কারণে দুই বাংলায় নজরুল প্রায় বিশ বছর অনুপস্থিত। অবশ্য তথাকথিত পাকিস্তানে (বাংলাদেশের নাম বদল করে) মানুষ নজরুলকে ভারত থেকে আগত এক শ্রেণীর মোহাজের মুসলিম নজরুল প্রয়োজনীয় ব্যস্ত। ভারতে কংগ্রেসী আমলে অবহেলিত নজরুলকে কমরেড মুজাফফর আহমদ (১৮৮৯-১৯৭৩), কমল দাশ গুপ্ত ১৯১২-১৯৭৪), আব্দুস সালাম, মজহারুল ইসলাম (নবজাতক প্রকাশনী), কল্পতরু সেনগুপ্ত (১৯৮৬)-সহ একদল নজরুল প্রেমিক মহান নজরুলকে সামনে আনার প্রাথমিক প্রয়াস পান। সে ধারা ষাটের দশকের প্রথম পাদে বিলম্বিত লয়ে শুরু হয়ে স্বাধীন বাংলাদেশে বেগবান হয়। পশ্চিমবঙ্গে ১৯৭৬ সালে বামফ্রন্ট ক্ষমতায় আসায় সেই গতি আরও গতিশীল হয়ে আজো বহমান। নজরুলী যুগের পর থেকে মহা অন্ধকার, তারপর আবার আলোর রেখা দেখা যায়। জগৎ ঘটক (১৯০২-১৯৮৯), নিতাই ঘটক, কমল দাশগুপ্ত, কাজী অনিরুদ্ধ (১৯৩১-১৯৭৪), ব্রহ্মমোহন ঠাকুর, মনোরঞ্জন সেন, নারায়ন চৌধুরী (১৯১২-১৯৯১) ও কল্পতরু সেনগুপ্ত (১৯১৬-২০০৩), নজরুলী নব জাগরণের প্রধান সৈনিক। মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায় (১৯৩০-১৯৯২) ও অঞ্জলি মুখোপাধ্যায় (১৯৩২-১৯৮৩) নব জাগরণের দুই প্রধান সুর শিল্পী। একজন আধুনিক গানের জগৎ ছেড়ে, আর একজন ডাক্তারী পেশাকে জলাঞ্জলি দিয়ে নজরুল সঙ্গীত প্রচার ও প্রসারে আমরণ যুদ্ধ করে গেছেন। নজরুল সঙ্গীতের নব ইতিহাসে এই দুই মহান কণ্ঠশিল্পীর অবদান বাঙালি জাতির জীবনে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। এক কথায়, তারা নজরুল সঙ্গীতের পুনর্জন্ম দিয়েছেন। বহু গ্রামোফোন পিপাসু মানুষের হৃদয়ে স্পন্দিত হয়েছে। রেকর্ড, ক্যাসেট, সিডিতে তা ধারণ করে সুর হিন্দুস্তানী সঙ্গীতের শাস্ত্রীয় রাগ-রাগিনীর সুর লালিত্য বাংলা গানে কবি সার্থক ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। শিল্পের রূপ, রস ও গন্ধ নজরুল তাঁর রচিত বাণী ও সুরের মাধ্যমে তূরীয় পর্যায়ে নিয়ে গেছেন, যার অনেক গান এখনো অশ্রুত, স্বরলিপিহীন, শ্রুতিবদ্ধহীন, অসুরারোপিত এবং অনাবিষ্কৃত।

ভারত-পাকিস্তানের সাম্প্রদায়িক যাঁতাকলে পরে নজরুলের অবস্থা ‘ত্রাহি মধুসূদন’। আজ পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা ও বাংলাদেশে প্রগতিশীলদের ভালবাসায় নজরুল সাহিত্য-সঙ্গীত স্ব-মহিমায় উদ্ভাসিত। বাংলা গানের নব জোয়ারে নজরুল সঙ্গীত এক বিশাল ক্যানভাস জুড়ে রয়েছে। নজরুলের স্বরচিত গ্রন্থ ছাড়া, তাঁর বন্ধুদের স্মৃতিকথায়, প্রবন্ধ-নিবন্ধ রচনায়, নতুন গবেষণায় এবং আদি সুরের মহিমায় বাংলা গান সর্বপ্লাবী। আজ অভিসন্দর্ভ রচনার সাথে সাথে বেশ কয়েকটি নজরুল বিষয়ক অভিধান প্রকাশিত হওয়ায় বিস্ময় জাগে–এতদিন কেন চাপা পড়েছিল এই সুর ভাণ্ডার। এক শ্রেণীর সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী আর প্রগতিশীল রাজনীতিকদের নজরুল চর্চায় অবহেলার কারণে এ ধারা বাধাগ্রস্ত হয়েছে বার বার। কিন্তু বর্তমান চর্চায়, নিম্নলিখিত নজরুল সঙ্গীত বিষয়ক গ্রন্থগুলি দেখে অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়–’বিশ্ব ব্যাপিয়া আছ তুমি।’

ভাবতে অবাক লাগে যারা নজরুলের প্রাপ্য অর্থ পরিশোধ করেনি, নজরুলকে কবি বলতে দ্বিধা করেছে, নজরুল সাহিত্যকে অবমূল্যায়ন করেছেন, নজরুলকে কাফের ফতোয়া দিয়েছেন–তারাই পরবর্তীকালে নজরুলকে সম্বর্ধনা দিয়েছেন; নজরুল তাদের চিনতে পারলে বিদ্রোহ করতেন এবং মেকি সম্বর্ধনায় রাজি হতেন না। এই উপমহাদেশের তথা সাড়া বিশ্বের নির্যাতিত মানুষের জাতীয় কবিকে যখন সাম্প্রদায়িক শক্তি বাংলাদেশের জাতীয় কবি অভিধায় অভিষিক্ত করে নিজেরা গৌরবান্বিত হচ্ছেন, তখন শোষিতের বিশ্বকবিকে ছোট করছেন। তাদের অনেকেই নজরুল নামাঙ্কিত প্রতিষ্ঠানে, কেউ কেউ চেয়ারম্যান, কেউ কেউ নির্বাহী কর্মকর্তা সেজে ছড়ি ঘুরিয়েছেন। হায়রে বাংলাদেশের নব্য নজরুল প্রেমিক! পৃথিবী তোমাদের ক্ষমা করলেও, অশরীরী নজরুল কিছু করতে না পারলেও প্রকৃত নজরুল গবেষক, শিল্পীরা তোমাদের কখনোই ক্ষমা করবে না। তোমরা ইতিহাসের আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হবে। ট্রাজেডি এই–যারা নজরুল সম্বন্ধে দুটি লাইনও লেখেনি- তাদের কেউ কেউ নজরুলী প্রতিষ্ঠানের কর্তা সেজে বসে। তবে বর্তমানে অনেকেই নজরুলকে ব্যবসায়িক দৃষ্টিভঙ্গিতে নিয়েছেন। নিজের ভাগ্য ফেরাতে নজরুল গবেষক, স্বরলিপিকার সেজেছেন। তাতে এসব অযোগ্য নজরুল গবেষকদের হাতে পড়ে নজরুলচর্চা আজ প্রশ্নের সম্মুখীন! নিচে নজরুল সঙ্গীত নিয়ে আজ পর্যন্ত প্রকাশিত গ্রন্থগুলির একটি তালিকা দেওয়া হলো:

বই (প্রথম প্রকাশ)
বুলবুল, (প্রথম প্রকাশ- ১৯২৮) ৪৯টি
চোখের চাতক (প্রথম প্রকাশ- ১৯২৯) ৫৩টি
মহুয়ার গান (প্রথম প্রকাশ- ১৯৩০) ১৫টি
নজরুল গীতিকা (প্রথম প্রকাশ- ১৯৩০) ১২৭টি
চন্দ্রবিন্দু (প্রথম প্রকাশ- ১৯৩১) ৬১টি
সুরসাকী (প্রথম প্রকাশ- ১৯৩২) ৯৯টি
জুলফিকার (প্রথম প্রকাশ- ১৯৩২) ২৪টি
বনগীতি (প্রথম প্রকাশ- ১৯৩২) ৭১টি
গুল-বাগিচা (প্রথম প্রকাশ- ১৯৩৩) ৮৭টি
গীতি শতদল (প্রথম প্রকাশ- ১৯৩৪) ১০১টি
গানের মালা (প্রথম প্রকাশ- ১৯৩৪) ৯৫টি
নজরুল স্বরলিপি (প্রথম প্রকাশ- ১৯৩১) ৩৫টি
সুরলিপি (প্রথম প্রকাশ- ১৯৩৪) ৩১টি
সুরমুকুর (প্রথম প্রকাশ- ১৯৩৪) ২৮টি

পরবর্তিতে প্রকাশিত গানের সংকলন:

নজরুল সঙ্গীত সম্ভার: নজরুল হস্তলিপি- বাংলা একাডেমী, এপ্রিল ১৯৮২, গান- ১০৩।
নজরুল গীতি সন্ধানে সংগ্রহ- আব্দুস সাত্তার, শিল্পী কুটির, ১২ ফেব্রুয়ারি- ১৯৭০।
অপ্রকাশিত নজরুল, সম্পাদনা- আব্দুল আজীজ আল আমান, হরফ, (গান- ১৬৩), ১৭/১১/১৯৮৯, কোলকাতা।
জাগো সুন্দর চিরকিশোর, সম্পাদনা- ও সংগ্রহ- আসাদুল হক, নজরুল ইনস্টিটিউট, আগস্ট ১৯৯১।
অপ্রকাশিত নজরুল-২, সম্পাদনা- ব্রহ্মমোহন ঠাকুর (গান- ৫৬) হরফ প্রকাশনী, ২৫ মে ১৯৯২, কোলকাতা।
নজরুলের হিন্দী গান, সংগ্রহ- আসাদুল হক, জুন ১৯৯৫, গান- ৮১, ঢাকা।
নজরুলের হারানো গানের খাতা, সম্পাদনা- মুহম্মদ নূরুল হুদা, নজরুল ইনস্টিটিউট, (গান- ১৬০), জুন ১৯৯৭।
কার গানের তরী যায় ভেসে, সম্পাদনা- আসাদুল হক, নজরুল ইনস্টিটিউট, ১.৫.১৯৯৯, ঢাকা।
নজরুল সঙ্গীত সংগ্রহ, সংগ্রহ ও সম্পাদনা- রশিদুল নবী, নজরুল ইন্সটিটিউট, অক্টোবর-২০০৬, ঢাকা।
পাণ্ডুলিপি (নজরুল সঙ্গীত), সম্পাদনা- আব্দুল মান্নান সৈয়দ, নজরুল ইন্সটিটিউট, ফেব্রুয়ারি, ২০০৯।

প্রবন্ধ, নিবন্ধ, গবেষণা ও মূল্যায়ন:

নজরুল কাব্যগীতি বৈচিত্র্য ও মূল্যায়ন- ৬, বাঁধন সেনগুপ্ত, (২০/০৭/১৯৭৬), নবজাতক প্রকাশনী।
নজরুল গীতির নানাদিক, শম্ভুনাথ ঘোষ, বেঙ্গল পাবলিশার্স প্রা.লি., মে ১৯৭৭, কলকাতা।
কাজী নজরুলের গান, নারায়ন চৌধুরী, এ মুখার্জী এ- কোম্পানী প্রা. লি., জুন ১৯৭৭, কোলকাতা।
নজরুল সঙ্গীতের সুর বিকৃতি ও সুর সংরক্ষণ- ব্রহ্মমোহন ঠাকুর, নবজাতক প্রকাশন, মে ১৯৯২।
নজরুলের গানের রাগ, আবুল আজাদ, প্রকাশক- নিজে, নভেম্বর ১৯৯৪, ঢাকা।
নজরুল গীতি আলোচনা, কল্পতরু সেনগুপ্ত, নজরুল একাডেমী, চুরুলিয়া, ১লা নভেম্বর, ১৯৯৫।
সঙ্গীত সংবিৎ, আব্দুশ শাকুর, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী, জুন ১৯৯৭।
ইসলামী ঐতিহ্যে নজরুল সঙ্গীত- আসাদুল হক, নজরুল ইনস্টিটিউট, জানুয়ারি ২০০০।
নজরুলের রাগভাবনা, ব্রহ্মমোহন ঠাকুর- নজরুল ইনস্টিটিউট, ফেব্রুয়ারি ২০০০।
রঙ্গমঞ্চে নজরুল, অনুপম হায়াৎ, নজরুল ইনস্টিটিউট, ডিসেম্বর ২০০০।
নজরুলের গান: কবিতার স্বাদ, সফিকুন্নবী সামাদী, জাতীয় গ্রন্থ প্রকাশন, জানুয়ারি ২০০১।
নজরুল ও মা’ রিফুন্নাসমাত, বাবু রহমান, নজরুল ইনস্টিটিউট, মে ২০০১।
নজরুল সঙ্গীত স্বরলিপিতে রাগ দর্শন, কৃষ্ণপদ মণ্ডল, নজরুল ইনস্টিটিউট, একুশে গ্রন্থমেলা ২০০৪।
নব মূল্যায়নে নজরুল গীতি ও স্বরলিপি, সুকুমার মিত্র, পুনশ্চ, ২৬শে মে ২০০৫, কলকাতা।
নজরুল সঙ্গীতের নানা প্রসঙ্গ, বাবু রহমান, গতিধারা, ফেব্রুয়ারি ২০০৭।
নজরুল সঙ্গীতের বৈচিত্র্য ও বৈপরীত্য, মায়া রায়, ভাষা; আগরতলা, ত্রিপুরা, মার্চ ২০০৮।

সাক্ষাৎকার ও জীবন:

নজরুল গীতি অন্বেষা, কল্পতরু সেনগুপ্ত, এনবিএ প্রা. লি., জুলাই ১৯৭৭, কোলকাতা।
নজরুল সঙ্গীতের রূপকার, আসাদুল হক, নজরুল ইনস্টিটিউট, জুলাই ১৯৯০, ঢাকা।
চলচ্চিত্রে নজরুল, আসাদুল হক, বাংলা একাডেমী, মে ১৯৯৩, ঢাকা।
বাংলা নাটকে নজরুল ও তাঁর গান, ব্রহ্মমোহন ঠাকুর, পশ্চিমবঙ্গ নাট্য আকাদেমি, নভেম্বর ১৯৯৫।
বেতারে নজরুল ও তার গান, ব্রহ্মমোহন ঠাকুর, নবজাতক প্রকাশনী, ২৬শে মে ১৯৯৮।
নজরুল যখন বেতারে, আসাদুল হক, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী, মার্চ ১৯৯৯, ঢাকা।
নজরুল সঙ্গীতের অবিস্মরণীয় শিল্পী, আসাদুল হক, নজরুল একাডেমী, মে ১৯৯৯, ঢাকা।
সুধীজনের দৃষ্টিতে নজরুল সঙ্গীত, আসাদুল হক, নজরুল ইনস্টিটিউট, মে ১৯৯৯, ঢাকা।
নজরুলের শ্রুতিধর ধীরেন দাস, আসাদুল হক, হাতে খড়ি, জানুয়ারি ২০০৪, ঢাকা।
কাজী নজরুল ইসলাম বিষয়ক সাক্ষাৎকার, সম্পাদনা- আব্দুল মান্নান সৈয়দ, নজরুল ইনস্টিটিউট, ২৭ আগস্ট ২০০৪, ঢাকা।

প্রাসঙ্গিক গ্রন্থ:

সঙ্গীত পরিক্রমা, নারায়ন চৌধুরী, এ মুখার্জী এন্ড কো. প্রা. লি., ১৯৫৫।
বাংলা গানের গতিপথ, চিন্ময় চট্টোপাধ্যায়, ডি.এম. লাইব্রেরি, ১৯৫৫, কলকাতা।
আমার জীবনের কথা, আব্বাস উদ্দীন, হরফ প্রকাশনী, মাশহুদা বেগম, ২৪ পরগণা।
সবারে আমি নমি, কাননবালা (অনুলিখন-সন্ধ্যা সেন), এম.সি. সরকার এ- সন্স প্রা.লি., ১৯৭৩।
বাংলার বুলবুল আঙ্গুরবালা, প্রশান্ত দাঁ, ভারতী বুক স্টল, জুন-১৯৮৩, কলকাতা।
স্মরণ-বরণ, গোপাল দাস মজুমদার, ডি.এম. লাইব্রেরি, ১৮ জুন, ১৯৮১, কলকাতা।
ইন্দুবালা, ড. বাধন সেন গুপ্ত, মৌসুমী প্রকাশনী, ফেব্রুয়ারি ১৯৮৪, কলকাতা।
শাওন রাতে যদি স্মরণে আসে মোরে, শ্রী জগন্ময় মিত্র, ইন্ডিয়ান এসোসিয়েটেড পাবলিশিং কোং প্রা. লি., ৭/২/৮৫।
আমার সঙ্গীত জীবন ও আনুষঙ্গিক জীবন, সন্তোষ সেন গুপ্ত, এ মুখার্জী এন্ড কোম্পানী প্রা. লি., বইমেলা, ১৯৮৬।
সুরের আগুন, গোলাম কুদ্দুস, দীপায়ন, ১৯৮৭, কলকাতা।
তুলসী লাহিড়ী, বিজিত কুমার দত্ত, পশ্চিমবঙ্গ নাট্য একাডেমী, জুন ২০০৫, কলকাতা।
অন্তরঙ্গ অনিরুদ্ধ, কল্যাণী কাজী, সাহিত্যম, মে ১৯৯৮, কলকাতা।
কাজীদার সঙ্গে (জগৎ ঘটক ও নিতাই ঘটক), সম্পাদনা- কল্পতরু সেনগুপ্ত, নজরুল একাডেমী, চুরুলিয়া, এপ্রিল ১৯৯৭, ভারত।
বিস্মৃত সুরশিল্পী কে মল্লিক, সংগ্রহ, সম্পাদনা, ভূমিকা: আবুল আহসান চৌধুরী, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর, অক্টোবর ২০০১।
ফৈয়াজী আলোকে নজরুল গীতি- কাকলী সেন, আদি নাথ ব্রাদার্স, বৈশাখ ১৪১৫ (২০০৮)।
বিমানে বিমানে আলোকের গানে, সিতাংশু শেখর ঘোষ, যোগমায়া প্রকাশনী, জানুয়ারি ২০০৩।
দুখু মিয়ার লেটো গান, মুহাম্মদ আয়ুব হোসেন, নজরুল ফাউন্ডেশন, বিশ্বকোষ পরিষদ, ৬ ডিসেম্বর ২০০৩, কোলকাতা।

অভিধানসমূহ:

নজরুল সঙ্গীত কোষ (আংশিক), সুরবাণী পত্রিকা, বাবু রহমান, ১৯৮৪, ঢাকা।
নজরুল সঙ্গীত অভিধান, আঃ সাহাব, নজরুল ইনস্টিটিউট, প্রচ্ছদ: সমর মজুমদার, ২৫ মে ১৯৯৩।
নজরুল শব্দকোষ, আবুল কালাম মুস্তাফা, বাংলা একাডেমী, মে ১৯৯৩, প্রচ্ছদ: কাইয়ুম চৌধুরী।
নজরুল গীতি সহায়িকা, কল্পতরু সেনগুপ্ত, প.রাজ্য.স.এ, জুন ১৯৯৭
নজরুল শব্দপঞ্জি, হাকিম আরিফ, নজরুল ইন্সটিটিউট, জুন ১৯৯৭, ঢাকা।
নজরুল সঙ্গীত কোষ, ব্রহ্মমোহন, বাণী প্রকাশ, জানুয়ারি ১৯৯৪।
নজরুল সঙ্গীত কোষ, ব্রহ্মমোহন ঠাকুর, নজরুল ইনস্টিটিউট, মে ২০০৯।
চাঁদেরে ঘিরি নাচে ধিরি ধিরি তারা অগণন, বাবু রহমান।

1 comment: