যেদিন আমি হারিয়ে যাব, বুঝবে সেদিন বুঝবে, অস্তপারের সন্ধ্যাতারায় আমার খবর পুছবে -

Sunday, 30 May 2010

বাজিছে দামামা বাঁধরে আমামা

বাজিছে দামামা বাঁধরে আমামা
শির উঁচু করি মুসলমান।
দাওয়াত এসেছে নয়া যমানার
ভাঙ্গা কেল্লায় ওড়ে নিশান।।

মুখেতে কালেমা হাতে তলোয়ার,
বুকে ইসলামী জোশ দুর্বার,
হৃদয়ে লইয়া এশক আল্লাহর
চল আগে চল বাজে বিষান।
ভয় নাই তর গলায় তাবিজ
বাঁধা যে রে তোর পাক কোরান।।

নহি মোরা জীব ভোগ- বিলাসের,
শাহাদাত ছিল কাম্য মোদের,
ভিখারির সাজে খলীফা যাদের
শাসন করিল আধা জাহান-
তারা আজ পড়ে ঘুমায়ে বেহুঁশ
বাহিরে বহিছে ঝড় তুফান।।

ঘুমাইয়া কাজা করেছি ফজর,
তখনো জাগিনি যখন যোহর,
হেলা ও খেলায় কেটেছে আসর
মাগরিবের আজ শুনি আজান।
জামাত শামিল হওরে এশাতে
এখনো জমাতে আছে স্থান।।

শুকনো রুটিকে সম্বল ক’রে
যে ঈমান আর যে প্রানের জোরে
ফিরেছে জগত মন্থন ক’রে
সে শক্তি আজ ফিরিয়ে আন।
আল্লাহ আকবর রবে পুনঃ
কাঁপুক বিশ্ব দূর বিমান।।


Islamic Lyric: The Resurgence
(Original: Bajiche damama)
Kazi Nazrul Islam
Translation: Kabir Chowdhury
=========================
There sounds the drum!
There on the ruined tower, dark and blank,
Flutters the once-mighty flag.
Raise your head, mussalmans,
Gird your loins and advance
The call of the New Age has come.

With the Kalma on your lips
And the sabre swinging against your hips,
With the fiery enthusiasm of Islam ill your
Shake off your lethargy and start.
With the love of Allah in your soul
Answer the call and take up your role.

There is nothing for you to dread.
You have that glorious amulet,
The Holy Quran, tied round your neck.
A pity that you overslept
And missed the Fazr prayer.
Neither did you awaken
When the Zohr did beckon.
And the Asr prayer you whiled away
In idleness and play.
The call for the Mughrib has also sounded.
You must hurry now to the Esha prayer.

Some room is still available there,
We are not really
Creatures of pomp and luxury.
Our Calipha once ru.led over half the universe
Dressed in clothes no better than beggers.
Once we only desired death
In the cause of our faith,

But now such a people as our's
Are numbed in a drunken stupor
While outside there rages a violent storm.

We had nothing but a dry piece of bread,
But we had a mighty faith and none did we dread,
A noble spirit of sacrifice we possessed.
And we moved from place to place without sleep or rest,
Always as victors great.

Let us bring back to our life
That faith and spirit of sacrifice:
Let the cry of Allah-o-Akbar
Resound in the lips of all.
Let the world tremble again
At the sound of that clarion call.

Courtesy: Mohammad Nurul Huda. Poetry of Kazi Nazrul Islam in English Translation
[Dhaka: Nazrul Institute, 2000). p. 555.

2 comments:

  1. একনজরে বিশ্বের যত শক্তিশালী মুসলিম রাষ্ট্র
    একনজরে বিশ্বের যত শক্তিশালী মুসলিম রাষ্ট্র
    তানিয়া তুষ্টি: মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন দেশ নানা সময়ে শিকার হয়েছে অপশক্তির। তাদের অধিগ্রহণে থাকা প্রাকৃতিক সম্পদ থেকে শুরু করে লুট হয়েছে রাজ্যক্ষমতা পর্যন্ত। সব শেষ বড় আকারে মুসলিম রাষ্ট্রের অধঃপতন ঘটে সাদ্দাম হোসেনের রাজত্ব হটানো দিয়ে। এরপর বেশ কয়েকটি মুসলিম দেশ আগ্রাসনের শিকার হয়। এ কারণে মুসলিম দেশগুলো প্রতিরক্ষা খাতকে শক্তিশালী করতে তৎপর হয়ে ওঠে। সামরিক শক্তিতে অত্যাধুনিক অস্ত্রের সঙ্গে যোগ হয় সেনাদের শৃঙ্খলা, মনোবল এবং যুদ্ধ সক্ষমতা। এই তালিকায় সৌদি আরব, তুরস্ক, মিসর, ইরানের পাশাপাশি বাংলাদেশের নামও রয়েছে। বিশ্বের মুসলিম দেশগুলোর সামরিক শক্তি নিয়ে আজকের রকমারি।

    বাংলাদেশের সুনাম বিশ্বজোড়া

    ২০১০ সালের পর থেকে বাংলাদেশ চীন থেকে পাঁচটি মেরিটাইম পেট্রোল ভেসেল, দুটি করভেট, ৪৪টি ট্যাংক, ১৬টি জেট ফাইটার, ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য জাহাজবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র কিনেছে।

    মুসলিম দেশ হিসেবে সমরশক্তিতে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়। এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় ৩৩টি রাষ্ট্রের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৮তম। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে নিয়মিত মোট কর্মীর সংখ্যা ১ লাখ ৬০ হাজার ও সংরক্ষিত বাহিনীতে রয়েছে ৬৫ হাজার কর্মী। দেশের প্রতিরক্ষা বাজেট হিসেবে রাখা হয় ১৫৯ কোটি মার্কিন ডলার। সম্প্রতি বাংলাদেশের নৌবাহিনীতে যুক্ত হয়েছে ‘নবযাত্রা’ ও ‘জয়যাত্রা’ নামে দুটি সাবমেরিন। টর্পেডো ও মাইন বহনকারী এই সাবমেরিন শত্রুজাহাজ ও অন্য সাবমেরিনকে আঘাত আনতে পারবে। সমরশক্তি বাড়াতে নৌবাহিনীতে রাখা হয়েছে মোট ১৬৬টি এয়ারক্রাফট। এর মধ্যে যুদ্ধবিমান ৪৫টি, অ্যাটাক এয়ারক্রাফট ৪৫টি এবং হেলিকপ্টার রয়েছে ৬১টি। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর মোট ট্যাংক রয়েছে ৫৩৪টি। সাঁজোয়া যান রয়েছে ৯৪২টি, ১৮টি স্বয়ংক্রিয় আর্টিলারি গান এবং ৩২টি রকেট প্রজেক্টর। ন্যাভাল অ্যাসেট হিসেবে আছে চারটি করভেট ও দুটি সাবমেরিনসহ ৯১টি তরী। শত্রু মোকাবিলায় বাংলাদেশ ব্যবহার করছে ৬টি ফ্রিগেট। এ ছাড়া মাইন ওয়ারফেয়ার ক্রাফট এবং বাণিজ্যিক নৌযানের দিক থেকে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। এ ছাড়াও আছে ৯৪২টি বিভিন্ন ধরনের সাঁজোয়া যান, ১৮টি কামান ও ৩২টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের যান। ২০১০ সালের পর থেকে বাংলাদেশ চীন থেকে পাঁচটি মেরিটাইম পেট্রোল ভেসেল, দুটি করভেট, ৪৪টি ট্যাংক, ১৬টি জেট ফাইটার, ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য জাহাজবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র কিনেছে। সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়নের জন্য ‘ফোর্সেস গোল ২০৩০’ নামে পাঁচ বছর মেয়াদি চার ধাপের একটি পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এর প্রথম ধাপ ২০১১-২০১৫ সফলতার সঙ্গে শেষ হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপ ২০১৬-২০২০ বাস্তবায়নাধীন। তৃতীয় ধাপ ২০২১-২০২৫ এবং চতুর্থ ধাপ ২০২৬-২০৩০ সালে বাস্তবায়ন করা হবে। বর্তমানে দ্বিতীয় ধাপের অংশ হিসেবে সামরিক অস্ত্র কেনা হচ্ছে। সরকার গত পাঁচ বছরে সামরিক খাতে কেনাকাটার জন্য বেশ কয়েকটি চুক্তি করেছে। এ পর্যন্ত সশস্ত্র বাহিনীর জন্য ১৫ হাজার ১০৪ কোটি টাকার অস্ত্র, গোলাবারুদসহ বিভিন্ন ধরনের সামরিক সরঞ্জাম কেনা হয়েছে। আমাদের সামরিক বাহিনীর সদস্যরা জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে কাজ করে সুনাম কুড়িয়েছে। এদের অনেকেই আছেন বিদেশ থেকে উন্নতমানের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। সূত্র : ইন্টারনেট


    সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন

    ReplyDelete